বৃষ্টির গল্প

সকাল থেকে ঝুম বৃষ্টি। একটু শীত শীত ভাব। কাঁথাটা আর একটু ভাল করে জড়ায় তপু। শরীর জুড়ে অদ্ভুত আবেশে মনটা ভরে ওঠে। যদিও আজ ছুটির দিন নয় কিন্তু মনের একপাশ বলে ওঠে আজ ছুটি, অন্য পাশ বলে ওঠে উঁহু! আজ অফিস কামাই করলে কাজ অনেক জমে যাবে আর শুধু শুধু ছুটি নিলে অসুস্থ অবস্থায় ছুটি পাওয়া দূরহ হবে - তাতে কষ্ট বরং বেশি। তার চেয়ে গা ঝাড়া উঠে পড়ে গোসল সারলে শরীর ঝরঝরে হয়ে যাবে। তার পর এক কাপ চা খেয়ে ছাতা হাতে বেড়িয়ে পড়া, বৃষ্টির জন্যে সব কি আটকে আছে? অন্যপাশ যুক্তিতে না পেরে একছুটে ছেলেবেলার বৃষ্টির দিনে নিয়ে যায়। জানালার পাশে বসে বৃষ্টি দেখা, মুড়ি - কাঁঠাল, স্বপ্ন নিয়ে যায় দূরে ব্হ দূরে।
স্বপ্ন যখনে বেশ জমে উঠেছে এর মধ্যে একটা মেয়ে কন্ঠ তাকে ডাকছে- নিশ্চয় খেলতে ডাকছি, তপু বলে ওঠে আসছি...
হঠাৎ শরীর জুড়ে প্রচন্ড ঝাঁকুনিতে চোখ মেলে তপু। শ্রেয়ার মুখ তার মুখের উপর ঝুঁকে আছে, কিছুটা বিরক্তিতে ভ্রুরু কুঁচকে আছে, কি হলো অফিসে যাবে না...
তপু আনমনে বলে উঠলো শরীর ভাল লাগছে না.. শ্রেয়া একটা হাত কপালে রাখলো। উহ! সাঙ্ঘাতিক গরম। তপুর মনে হলো স্বপ্নের মতো শ্রেয়া এসে তার জ্বর দেখলো.. একশ দুই, মাথায় পানি দিতে হবে, শ্রেয়া ব্যস্ত হয়ে পড়ে. তপুর মুখে তৃপ্তির হাসি। আজ বৃষ্টিটা উপভোগ করা যাবে। তপু আবার ফিরে যায় ছেলেবেলায়, সে বৃষ্টিতে ভিজছে...
(চলবে..)
বিঃদ্রঃ আমি গল্প পড়তে ভীষণ ভালোবাসি কিন্তু গল্প একবারেই লিখতে পারি না, কেন যেন ওটা আমার মধ্যে ঠিক আসে না। তবু একটু চেষ্টা করে দেখলাম..
0 comments
Post a Comment